মেডিকেল প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত ৫ চিকিৎসক, প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি (ভিডিও)
মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আব্দুস সালামের সঙ্গে অন্তত ৫ জন চিকিৎসক জড়িত রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এ সংক্রান্ত মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এমন প্রমাণ পায়। ওইসব জড়িত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবে সিআইডি। কেবল চিকিৎসকই নয় মেডিকেল ভর্তি কোচিং করিয়ে থাকে এমন ৩টি প্রতিষ্ঠানেরও সম্পৃক্ততার তথ্য পেয়েছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। যারা অর্থের বিনিময়ে তাদের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করত।
প্রশ্নপত্র ফাঁসে মামলার পলাতক আসামি স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরোর মেশিনম্যান আবদুস সালামকে গ্রেপ্তারের পর আজ মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) এ তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) এসএম আশরাফুল আলম। এ ঘটনায় আর যাদের নাম এসেছে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
সিআইডি কর্মকর্তা এসএম আশরাফুল আলম বলেন, ৫ অক্টোবর বনশ্রী এলাকা থেকে সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ২০১৫ সালে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। তাকে আজ আদালতে পাঠিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এর আগে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত আরও ১০ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের সন্ধান পাওয়া যায়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ জুলাই জসিমউদ্দীন ভূঁইয়া, জাকির হোসেন এবং এসএম সানোয়ার হোসেন নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরও ৭ জনকে গ্রেপ্তার হয়।
আশরাফুল আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই পরস্পর আত্মীয়। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, জসিমের খালাত ভাই সালামই প্রশ্ন ফাঁসের হোতা। তার মাধ্যমেই প্রশ্ন বের হত এবং জসিম তার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিত।
তিনি আরও বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। ৫ থেকে ৬ জন ডাক্তারের নাম আসে যারা মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের চক্রের সঙ্গে জড়িত। ৩ থেকে ৪টি কোচিং সেন্টারের নামও আসে যাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র চলে যেত।
কেএফ/ এমকে
মন্তব্য করুন